প্রকাশিত: Fri, Jun 28, 2024 9:04 AM
আপডেট: Sat, Dec 6, 2025 3:25 PM

[১]এসেট প্রকল্পের মাধ্যমে শ্রমবাজারে দক্ষকর্মী বাড়ছে

মোস্তাকিম স্বাধীন: [২]  দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের আওতায় এসেট প্রকল্প তরুণদের বেকারত্ব নিরসন তথা দক্ষ শ্রমবাজার সৃষ্টিতে অনেক অবদান রাখছে। ‘অ্যাসিলারেটিং এন্ড স্ট্র্যাংদেনিং স্কিলস ফর ইকোনমিক ট্রান্স ফরমেশন’ (এসেট)  প্রকল্পটি গতানুগতিক অন্য শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে আলাদা। 

[৩] এক সময় প্রতিটি উপজেলায় যুব উন্ন্য়ন অধিদফতরের মাধ্যমে কম্পিউটার শিক্ষা বা মৎস্য প্রশিক্ষণ দেয়ার কর্মসূচি ছিল। সময়ের পরিবর্তনে এই কর্মসূচিতে বাস্তবমুখী ও কারিগরি প্রশিক্ষণের সুযোগ তৈরি হয়েছে। 

[৪] এসেট প্রকল্পটি দেশে ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে দেশের যুব নারী প্রতিবন্ধী অনগ্রসর ও সুবিধা বঞ্চিত ব্যক্তিদের দক্ষতা বৃদ্ধি মূলক প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে। (রংপুর বিডি )  

[৫] এসেট প্রকল্প নিয়ে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. জহির বিশ^াস বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে সরকার দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশে পরিণত করতে সরকার ব্যপক কর্মসূচি নিয়েছে। তরুণ প্রজন্মকে কর্মমুখী জ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার বিকল্প নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।  

[৬] ‘আমরা চাই  স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমের্ন্ট, স্মার্ট সোসাইটি’-এই স্লোগান নিয়ে খুব প্রচার না থাকলেও এসেট প্রকল্পের মাশ্যমে ৬৪ জেলা শহরে তরুণদেরও দক্ষ করে তোলার কাজ চলছে। 

[৭]  বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের দেশের  জন্য সবচেয়ে ভালো উদাহরণ হচ্ছে জাপান। মানব সম্পদকে কাজে লাগিয়েই আজ তারা বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনীতির দেশ। তরুণ জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে রূপান্তর করতে পারলে আমরাও উন্নত অর্থনীতির দেশ হবো। তার জন্য এসেট প্রকল্পের মতো কর্মমুখী শিক্ষা প্রয়োজন।  

[৮] জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থার (ইউএনডিপি ) এক তথ্যে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালে বাংলাদেশে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ৯৮ লাখে পৌঁছাবে। যা হবে জনগোষ্ঠির ৭০ শতাংশ । (বণিক বার্তা)। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব